মা-বাবার আচরন সন্তানের সংগে কেমন হবে তা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক আজকে আমি আপনাদের সাথে মা-বাবার আচরন সন্তানের সংগে কেমন হবে তাসম্পর্কে আলোচনা করব। আপনার মনে যদি মা-বাবার আচরন সন্তানের সংগে কেমন হবে সে সম্পর্কে জানার প্রয়োজন থাকে তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি মা-বাবার আচরন সন্তানের সংগে কেমন হবে তা বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
সবচেয়ে বেশি সময় কাটান শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে । শিশুরা সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয় বাবা-মায়ের সঙ্গে কিছু ঘটলে । শিশুদের উপর একটি বড় প্রভাব ফেলে পরিবারে যা ঘটে । তা হোক ভালো বা খারাপ , ভুল বা সঠিক ।
ভূমিকা
বিরূপ প্রভাব পড়বে বাবা-মার মধ্যে কেউ একজন মানসিক নির্যাতন করে থাকলে এবং সন্তানটি বেশিরভাগ সময় যার সঙ্গে কাটায় । প্রভাবিত করে অভিভাবকত্ব শিশুর প্রকৃতিকে । তাদের জীবন ভিন্ন প্রকৃতির হয় শৈশবে মানসিক আঘাত পেলে।
সন্তানের শক্তি হন
আপনি কে বল আপনার সন্তানকে সর্বোত্তম জিনিস শেখাবেন না মা-বাবা হিসেবে, দাঁড়ানোর শক্তিও দিতে হবে বিশ্বের বিরুদ্ধে । প্রতিটি প্রতিকূলতাকে সাহসী করার জন্য সন্তানের মধ্যে প্রাকৃতিক ঢাল তৈরি করে দেওয়াই হচ্ছে অভিভাবকত্ব । মানসিক নির্যাতনের কারণ নন তো সন্তানের আপনি।
এগিয়ে আসার এখন সময় এসেছে অভিভাবকদের , এবং তাদের অভিভাবকত্বের মূল্যায়ন করার । উত্থান পতন এবং ত্রুটি সুবিধা থাকতে পারে আপনার , ভাবতে হবে এই বিষয়ে অবশ্যই । যখন তখন অপমান করার অধিকার রাখেন না আপনার সন্তান বলেই ।
সব সময় নেতিবাচক বা সমালোচনামূলক হবেন না
সন্তানের প্রতি সুরক্ষামূলক হওয়া এবং তাদের অধিকার ও অন্যায় সম্পর্কে শেখানো যদিও মা-বাবার কাজ তবে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে অতিরিক্ত সমালোচনার । আপনি তাদের সৃজনশীল স্থানকে সংকুচিত করে দেন তাদের জীবনে অত্যধিক হস্তক্ষেপ এবং অতিরিক্ত প্রশ্রয় দিয়ে । শিশুরা তাদের ভুল থেকে অনেক ভালো শিখতে পারে , যদিও জ্ঞানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার গুরুত্ব উড়িয়ে দেওয়া যায় না ।
বিচারক হবেন না সব সময়
সন্তানের আবেগকে বাতিল করবেন না আপনার বিবেচনার ভিত্তিতে । প্রার্থীব জিনিস দেখেছেন এবং অনুভব করেছেন আপনি একটি শিশুর চেয়ে অনেক বেশি । এমন সময় হতে পারে আপনার পক্ষে কঠিন হবে সন্তানের আচরণ বোঝা , বাদ দিতে বলবেন তা বোঝার পরিবর্তে ।
দোষী করবেন না সন্তানকে
প্যারেন্টিং কৌশল এটি সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক । তারা আপনার প্রত্যাশা পূরণ করেনি আপনার সন্তানকে দোষারোপ করা শুধুমাত্র এই কারণ । মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে এটি শিশুর । সন্তানের কাছ থেকে আসা বন্ধ করা প্রথম সুবর্ণ নিয়ম । আপনার স্বপ্ন চাপিয়ে দেওয়া বন্ধ করুন শিশুর উপর । সন্তানকে অর্জন করতে হবে এমনটা জরুরি নয় আপনি যা অর্জন করতে পারেননি ।
আরোপ করবেন না নিয়মকানুন
ভাঙতে পারে নিয়ম । যা জানা দরকার তা হল সন্তানের জন্য কি ভালো পিতা-মাতা হিসাবে আপনার প্রথমে । আবশ্যক নয় শিশুর ওপর নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া প্রাচীনকালের এবং একই কাজ করতে বাধ্য করা । সন্তানের জন্য কাজ নাও করতে পারে আপনার জন্য যা কাজ করেছে সেগুলো সব সময় ।
যেসব কাজ করা ঠিক নয় শিশুর সামনে
সন্তান যেন মানুষের মতো মানুষ হয় প্রত্যেক মা-বাবায় চায় । যেন তার মধ্যে না থাকে কোন খারাপ গুণ । যখন মা-বাবা সন্তানকে সঠিক পথ দেখাবে তখনই এটা সম্ভব । বাচ্চার উপর প্রভাব পড়তে পারে বাবা মা খারাপ শব্দ ব্যবহার করলে অন্যের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলে । সন্তানও তাই শিখবে আপনি যা করবেন । বাচ্চাদের সামনে কি করা উচিত নয় তা নিম্নে দেওয়া হলঃ -
ফোন এবং টিভি কম ব্যবহার করুনঃ সেও আপনার মতই এভাবে সময় কাটাবে আপনার সন্তান যখন আপনাকে সারাদিন টিভি বা ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখে । তাই সবচেয়ে কম সময় ব্যয় করুন টিভি ও ফোনের পিছনে ।
কখনো কাউকে অপমান করবেন নাঃ আপনার বাচ্চার উপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে আপনি যদি প্রতিবেশী বন্ধু বা পরিবারের কোনো সদস্যকে অপমান করেন । কারো সঙ্গে আপনার মত পার্থক্য থাকতে পারে বা অপছন্দ করতে পারেন কাউকে , কিন্তু বাচ্চার সামনে তাদের প্রতি ক্ষোভ ব্যক্ত করবেন না আপনি। সেই ব্যক্তিকে কোন সময় অপমান করতে পারে আপনি এরকম করলে আপনার সন্তানও । তারাও সেটাই শিখবে আপনি যা করবেন ।
খাবার নষ্ট করবেন নাঃ খাওয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করুন আপনার সন্তানকে , তাদের বোঝান জীবনে খাওয়ার গুরুত্ব কতটা । খাদ্য অপচয় করবেন না আপনি নিজেও। খুব খারাপ অভ্যাস খাবার নষ্ট করা তাদেরকে এটা বুঝান ।
ভদ্রতা বজায় রাখুনঃ এমন কোন কাজ করা থেকে বিরত থাকুন বাচ্চার সামনে যা তাদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে । ভালো আচরণ করুন এবং সর্বদা শৃঙ্খলা বজায় রাখুন ।
বাচ্চার সামনে কখনো চিৎকার করবেন নাঃ বাচ্চার সামনে কখনও চিৎকার করবেন না খুব বিরক্ত হলে বা রেগে গেলেও । নিয়ন্ত্রণ রাখুন আপনার মেজাজকে। তার মনে হতে পারে যে এটি করা ঠিক আপনি যদি আপনার সন্তানের সামনে এমনটা করেন ।
সন্তানকে বেশি আদর করলে যে প্রভাব পড়ে
বিরল ঘটনা নয় একাধিক সন্তান থাকলে যে কোন এক সন্তানের প্রতি বাবা মা এদের টান একটু বেশি থাকাটা । একটু বেশি স্নেহ করেন প্রশ্রয় দেন বাবা মায়েরা কোন সন্তানকে বাকিদের চেয়ে। এমন ঘটনা দেখা যায় পরিবারের ৬৫ শতাংশ । জীবন জুড়ে বয়ে বেড়াতে পারে অন্য সন্তানদের কোন সন্তানকে একটু বেশি স্নেহ করার নেতিবাচক প্রভাব ।
কম শাসন করেন তাকে একটু । নিজেদের একটু কম প্রিয় মনে করতে পারেন বাকি সন্তানরা । আঘাত নাও পেতে পারে পরিবারের সব ভাইবোনই এই ব্যাপারটা ।তার উপর গভীর প্রভাব পড়তে পারে যে সন্তান মনে করে তাকে কম মনোযোগ ও ভালোবাসা দেওয়া হচ্ছে ।
বাবা মায়ের আচরণ বৈষম্য ধরতে পারে শিশুরা একেবারে ছোটবেলা থেকে । যেকোনো শিশু বুঝতে পারে বাবা-মা কোন ভাই বা বোনের সঙ্গে একটু বেশি স্নেহ পূর্ণ আচরণ করছে ।
শিশুকে ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন করুন
আপনার শিশুর মধ্যে ব্যক্তিত্ব আনুন আপনি নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে । তাকে বিরত রাখুন মুখ গোমরা করে রাখা ঝগড়া করা অন্যের ব্যাপারে নাক গলানো ইত্যাদি বাজে অভ্যাস থেকে । কিভাবে সংশোধন করতে পারে তা শেখান তাকে ভুল ধরিয়ে দিয়ে ।
আদব কায়দা থাকে শিখিয়ে দিন সমবয়সীদের সঙ্গে হ্যালো বলা , বড়দের সালাম দেওয়া , ভুল হলে দুঃখিত বলা ইত্যাদি । তাকে সচেতন করুন পোশাকের পরিছন্নতা সম্পর্কে । তাকে শেখান কিভাবে সোতে হয় ওঠা বসা কেমন হবে ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ।
তাকে গাইড করুন আপনি সরাসরি । চাহিদা আরো বেড়ে যাবে এবং শিগগিরই সে নষ্ট হয়ে যাবে প্রথমে যদি আপনি নতি স্বীকার করে নিন । তবেই তাকে যুক্তি প্রদর্শন করুন আপনার শিশুর বোঝার মত বয়স হলে বা রীতিনীতি সম্পর্কে প্রশ্ন করার বুদ্ধি যোগায় ।
লেখকের মন্তব্য
পরিশেষে বলা যায় সন্তানের সঙ্গে সব সময় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে । তাদের সাথে কোন সময় খারাপ আচরণ করা যাবে না ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url