শিম এবং শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক আজকে আমরা শিম এবং শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সে সম্পর্কে  আলোচনা করব। আপনার মনে যদি শিম এবং শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সে সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন জেগে থাকে তাহলে আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে শিম এবং শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
শিম এবং শিমের বিচির উপকারিতা ও অপকারিতা জেনে নিন
শিম শীতকালীন উন্নত একটি সবজি । বছরের অন্য সময় পাওয়া কঠিন হয় শীতকাল ছাড়া । যেমন সুস্বাদু তেমনি পুষ্টিতেও ভরপুর শিম । শরীরের নানা উপকার করে শীতের সবজি শিম । অনেক রোগ থেকেও দূরে রাখে শিম । নানা ধরনের খনিজ পদার্থ শিমে রয়েছে ।

ভূমিকা

শিমের নাম অনেকেরই পছন্দের সবজির তালিকায় আছে । শিম খেতে খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর । শিম এবং শিমের বিচি তাছাড়া সিমের পাতাও শাক হিসেবে খাওয়া যায় । শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন যা শিমের বিচিতে রয়েছে উচ্চ মানের ফাইবার প্রোটিন ।
কোন কোলেস্টেরল নেই শিম এবং সিমের বিচিতে । শিমে রয়েছে শতকরা ২০ ভাগ প্রোটিন ও উচ্চ মাত্রার কার্বোহাইড্রেট শরীরের এনার্জি বা শক্তির জন্য । শিমে রয়েছে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও আয়রন । শরীরের ওজন কমায় , শক্তি যোগায় , ও ক্রনিক রোগ দূর করে শিমে থাকা ফাইবার ।

শিমের উপকারিতা

শরীরের নানা দিক থেকে উপকার হয় নিয়মিত সেম খাওয়া গেলে । শিমে রয়েছে ফাইবার , আইরন এবং ক্যালসিয়াম । সেমের কিছু উপকারিতা নিম্নে দেওয়া হলঃ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ শিম নিয়মিত খাওয়া গেলে রোগের প্রতিকার এবং প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে।
কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণঃ কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণে থাকে অনেকটা সিমে ফাইবার থাকার কারণে ।
ডায়াবেটিস সুরক্ষায়ঃ শিমে শরীরের শর্করা ও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা আছে ।

চুল পড়া কমায়ঃ  শিমে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকায় চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সাহায্য করে ।
অস্থি সন্ধির জন্যঃ অস্ট্রিও অ্যাথাইটিস রোগ হওয়ার শঙ্কা কমায় এবং হাড়ের সংযোগস্থলে সুরক্ষা দেয় সিম ।
আদ্রতা দূর করে ত্বকেরঃ এই সবজিতে অনেকটা পানিও থাকে । তার জন্য ত্বকের আদ্রতা দূর করতেও সাহায্য করে শিম এবং শিমের বিচি ।
সিম হৃদ রোগীদের জন্যঃ হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যারা নিয়মিত শিম খান । হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষা দেয় শিমে থাকা ফাইটো কেমিক্যালস ।

নিয়ন্ত্রণে কোলেস্টেরলঃ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এই সবজির আশ । রক্তের কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে রাখে এর স্যপোনিনস ।
ওজন কমাতেঃ দ্রুত ভরে ফেলে পাকস্থলী শিমের আশ । কমিয়ে রাখে রক্তে নিয়ে আসার পরিমান । শক্তি দেয় শরীরকে । আবার ওজন বাড়াতে বাধা দেয় ।
ক্যান্সার প্রতিরোধঃ ক্ষমতা আছে শিমে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার । শিমে ইসোফ্লাবোনেস ,ফাইটোস্টেরলসের মত ক্যান্সার প্রতিরোধে উপাদান রয়েছে ।

শিমের পুষ্টিগুণ

শিম অন্যতম শীতের সবজির মধ্যে । এই সবজির জুড়ি নেই রান্নায় স্বাদ বাড়াতে শীতে । এখন বাজার জুড়ে শিমের পাশাপাশি শিমের বিচির ও চাহিদা রয়েছে । পুষ্টিগুণে ভরপুর মৌসুমী এই শীতের সবজি ।প্রতি ১০০ গ্রাম শিমে আছে খনিজ উপাদান আছে০,৯ গ্রাম , এবং জলীয় অংশ৮৬,১ গ্রাম , ক্যালরি৪৮ কিলো , আস১,৮ গ্রাম , আরো পাবেন 
এর পাশাপাশি শিম থেকে প্রোটিন৩,৮ গ্রাম , শর্করা৬,৭ গ্রাম , ক্যালসিয়াম২১০ মিলিগ্রাম , এছাড়াও লৌহ১,৭ মিলিগ্রাম এছাড়াও নানা উপকারী গুনাগুন । রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে এবং সুস্থ হতেও কাজ করবে এই মৌসুমী সবজি। শিম বেস কার্যকর বিশেষ করে গর্ভবতী মা এবং অনাগত সন্তানের পুষ্টি জোগাতে । 

খাবারের তালিকায় যুক্ত করতে পারেন শিম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য এবং কোলন ক্যান্সার থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য । হৃদরোগের ঝুঁকি কমে অনেকাংশে নিয়মিত শিম খেলে । শিম একটি আদর্শ খাবার যারা পেটের সমস্যায় ভুগেন । শিম বেশ কার্যকর রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে ।

শিমের অপকারিতা

মাইগ্রেনের তীব্রতা বাড়তে পারে কারো কারো শিম খেলে । হতে পারে মাথা ব্যথা ও । শিম খাওয়া বাদ দিতে হবে শরীরের এলার্জির প্রতিক্রিয়া দেখা দিলে । শিম বাদ দেওয়াই ভালো যারা বিষণ্ণতার জন্য মনো-অ্যামাইন অক্সিডেস ইনহিবিটর খান । রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে শিমের উপাদান এসব ঔষধের সংস্পর্শে এসে ।

শিমের বিচির উপকারিতা

পৃথিবী জুড়ে মানুষের অন্যতম প্রিয় খাবার ভাত রুটির পাশাপাশি শিমের বিচির ও । শিমের বিচি বাজারে উঠে শিম পরিপক্ক হলে । শিমের বিচি দিয়ে সোল মাগুর , এবং জিএল মাছ দিয়ে রান্না করা তরকারি অপূর্ব । প্রচুর আমিষ ও শর্করা রয়েছে শিমের বিচিতে । শরীরের পুষ্টির চাহিদা মেটায় এবং শরীরের শক্তি যোগায় শিমের বিচি । 

২৪ দশমিক ৯ গ্রাম আমিষ আছে ১০০ গ্রাম শিমের বিচিতে । আমিষের অভাবজনিত রোগে আক্রান্ত হয় আমাদের দেশের শিশু সহবাস ও ব্যক্তিরা । শিশুর আক্রান্ত হলে তাদের বৃদ্ধি কমে যায় । কর্ম ক্ষমতা কমে গিয়ে হাত পা শুকিয়ে যায় । এছাড়াও পেট বড় হয়ে যায় এবং স্মরণ শক্তি কমে যায় । এই রোগ থেকে মুক্তি দেয় শিমের বিচি দ্রুত । 

মাছ-মাংস এড়িয়ে চলেন সবজিভুজি মানুষজন । আমিসের ঘাটতি দেখা দিতে পারে । তাদের শরীরে দুর্বল হয়ে পড়তে পারে তাদের শরীর । শরীরের ঘাটতি পূরণে অনেক টাই সহায়ক হবে শিমের বিচি । প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে শিমের বিচিতে । তাই এটি ভূমিকা রাখে হাড়ের ক্ষয় রোধে । এটি হজমে সাহায্য করে শিমের বিচিতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আস থাকায় । 

শিমের বিচি গর্ভকালীন মায়েদের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়তা করে । এছাড়াও মায়ের বুকের দুধ বাড়ায় শিমের বিচি ।

লেখকের মন্তব্য

প্রিয় পাঠক আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন শিম এবং শিমের বিচির উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ এবং অপকারিতা সম্পর্কে । আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই পরামর্শ দিবেন । আমাদের ওয়েবসাইটটি নিয়মিত পড়ুন আরো অনেক কিছু জানতে পারবেন । সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেি শেষ করলাম ধন্যবাদ ।




এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url