কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন
প্রিয় পাঠক এই আর্টিকেল পড়ার মাধ্যমে কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন। কান মানুষের শরীরের একটি মূল্যবান অঙ্গ। যার মাধ্যমে আমরা বাহিরের শব্দ শুনতে পাই। সাধারণত কান মানুষের মস্তিষ্কের দুই পাশে অবস্থিত। যার মাধ্যমে কথা শুনে মস্তিষ্ক কাজ করে থাকে। কান এবং চোখ দুটোই মাথার সাথে সংযুক্ত থাকে।
কান পাকা একটা সাধারণ রোগ নয়। কান পাকা রোগ বেশিভাগ মানুষেরই হয়ে থাকে। কানের ভিতর যদি সমস্যা হয় বা কান পাকে তাহলে মাথাব্যাথা হয়, বা কানে শুনতে পাওয়া যায় না। তাহলে চলুন আজকে এই আর্টিকেলে কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব।
ভূমিকা
কান পাকা রোগের নির্দেশিকা বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন ব্যক্তির কানের পরিস্থিতি, সাফাই অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক অভ্যন্তরীণ, আবশ্যক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। কান পাকা রোগের কিছু সাধারণ লক্ষণ হতে পারে যেমন শুনতে সমস্যা, গলার সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যা, কানের জ্বালাপোড়া, আবহাওয়া পরিবর্তন প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি।
এই রোগের চিকিৎসা করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অত্যাবশ্যক। তিনি পরীক্ষা করে রোগের সঠিক ধরন ও কারো নির্ধারণ করে নির্দেশ দিবেন। তবে আরো ভালোভাবে জানার জন্য নিচের আর্টিকেলটি ভালোভাবে পড়ে কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন।
কান পাকা রোগের লক্ষণ
কান পাকা রোগের প্রধান দুটি লক্ষণ লক্ষ্য করা যায় তা হচ্ছে কান দিয়ে পুঁজ পড়া বা পানি আসা কানের শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া। তবে শিশুদের যদি কান পাকে তবে রাতে ঘুমানোর পরে বালিশ ভিজে যায়, গায়ে জ্বর আসে এবং শরীরে হালকা ব্যথা অনুভূত হয়ে থাকে। কানের ভেতর থেকে অত্যন্ত দুর্গন্ধ বের হয়।
কানের ভিতরে অতিরিক্ত পুঁজ জমে বন্ধ হয়ে থাকে। এতে কানের শ্রবণশক্তি অনেকটাই কমে যায়। ফলে এই সময় যদি সঠিক চিকিৎসা করানো না যায় বধির হওয়ার আশঙ্কা । এক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।
কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা
কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা বলতে বোঝায়। প্রচন্ড কান ব্যাথা অস্বস্তির বিষয়। বিশেষ করে কান পাকা যদি সংক্রমণের রূপ নেয়, তাহলে কানের অবস্থা আরো বেশি খারাপ হয়ে যায়। কান পাকার কারণে কানের ভিতরে ময়লা জমে যায়। খাদ্য এলার্জি, পুষ্টির ঘাটতি, কানে আঘাত, ঊর্ধ্ব শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণ বিভিন্ন কারণ।
মাথাব্যাথা, শুনতে অসুবিধা, ঘুমে অসুবিধা ,কানে ব্যাথা ,বমি ভাব সংক্রমনের লক্ষণ। কান পাকা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- নল মূল্যবান তেল স্নানঃ নল মূল্যবান তেল ব্যবহার করে শুল্কের কানের পরিষ্কারতা বাড়াতে পারেন।
- কর্পূরের তেলঃ কর্পূরের তেল একটি সহায়ক ওষুধ যা কানের পাকা ব্যথা কমায়।
- পাকা সেদ্ধ পুদিনা পাতা পানিঃ পুদিনা পাতা শুল্ক এর অবস্থা বানানো এবং তা পানিতে দিয়ে গরম করুন। এটি কানে লাগালে পাকা রোগে ভালো ফলাফল দেখায়।
- গরম পানির বোতল অনু প্রয়োগঃ একটি গরম পানির বোতল কানে স্থাপন করতে পারেন যেটি কানের পাকা সমস্যার ব্যথার হ্রাস করে।
- কানের তাপমাত্রা নির্ধারণ করাঃ কানের পাকা সমস্যার সম্পর্কে সত্তর বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করুন।
- জলপাই তেলঃ কান পাকার কারণে কানের ভিতর জলপাই তেল ব্যবহার করতে পারেন এতে উপশম পাবেন।
- পানির ব্যবহারঃ কানের বাহিরে পর্যাপ্ত পানি ব্যবহার করতে পারেন।
- গরম পানিঃ গরম পানি ব্যবহার করে খান পরিষ্কার করতে পারেন।
যদিও এই ঘরোয়া চিকিৎসা সাধারণভাবে কানের পাকা সমস্যার জন্য কার্যকর হতে পারে, তবে এটি নির্দিষ্ট চিকিৎসা বা পরামর্শের প্রতিস্থাপন হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয়। যদি সমস্যাটি পরিষ্কার হতে না পারে বাড়াতে থাকে, তাহলে নিকটস্থ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
কান পাকা রোগের চিকিৎসা
কান পাকা রোগের চিকিৎসা করার জন্য প্রথমে একজন নাক কান গবেষক বা অবস্থানকারী চিকিৎসক কে দেখাবেন। একটি পরীক্ষার মাধ্যমে তারা কানের অবস্থান এবং অন্যান্য সংকেত নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারেন। চিকিৎসক সাধারণত ঔষধ দ্বারা সাধারণ অসুস্থতার উপসর্গ দেখে সেখানে কানের অবস্থান এবং মানসিক অবস্থা বিবেচনা করা হয়।
আড়ও পড়ুনঃ আমাশয় রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা জেনে নিন
প্রয়োজনে অন্যান্য পরীক্ষা যেমন ফোনোগ্রাম, কম্পিউটার টেমোগ্রাফি,(CT) স্ক্যান ইত্যাদি করা যেতে পারে। চিকিৎসক যে সমস্ত পরামর্শ দিবেন তা নিম্নরূপঃ
- ঔষধঃ যদি কান পাকা হওয়ার পেছনে একটি ইনফেকশনের চেহারা দেখা যায়, তাহলে চিকিৎসক আপনাকে রেসিপি বা সেবন করা ঔষধ সরবরাহ করতে পারেন।
- কান সাপ রাখুনঃ পাকা কানের দেখভাল করতে কান সাপ রাখা গুরুত্বপূর্ণ। অনিমিত পরিষ্কার কে যেন হোঁচট প্রদান করা হয়।
- প্রোবিওটিক ও প্রেবিওটিকঃ কিছু প্রোবিওটিক বা প্রেবিওটিক সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে যা ইনফেকশনের পরিমাপ বিচার করে প্রয়োগ করতে হবে।
- চিকিৎসাঃ যেকোন ইনফেকশনের চিকিৎসা বিশেষভাবে প্রয়োজন হতে পারে। এটি ঔষধ বা সার্জারির মাধ্যমে হতে পারে।
পরিষ্কারভাবে চিকিৎসা সাধারণত এই অবস্থাতে পর্যাপ্ত হয়।, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত যখন পাকা কান একটি মোট সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বা প্রতিবার পুনরাবৃত্তি হতে পারে। এক্ষেত্রে নিকটস্থ চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
কান পাকা রোগের হোমিও চিকিৎসা
কান পাকার রোগ বা অদৃশ্য শূন্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য সমস্যা যা চিকিৎসা প্রয়োজন। হোমিওপ্যাথি হলোপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতি যা মূলত প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে নির্মিত ও প্রয়োগ করা হয়। এই ধারাবাহিকতার মূল ধারণা হলো অল্প পরিমাণে একটি পদার্থ যে ধারাবাহিকভাবে ব্যবহৃত হলে একই পদার্থের বড় পরিমাণ অবস্থার চিকিৎসা করতে সাহায্য করতে পারে।
হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মূল অংশ হলো “ সিমিলিয়া সিমিলিবাসি ” বা “অনুকরণের অনুযায়ী চিকিৎসা” যা অর্থ হলো একটি রোগীর অবস্থার একটি দুশ্চিন্তা হলে সেই অবস্থার সামান্য অংশ ধারাবাহিকভাবে ব্যবহৃত পদার্থের চিকিৎসা করে তা ঠেকাতে প্রতিষ্ঠা করা।
কোন স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা শুরু করার আগে সর্বদা একজন চিকিৎসার সাথে পরামর্শ করা উচিত। স্বাস্থ্যসম্মত পদার্থের ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মাত্রার বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত।
কান পাকা রোগের এন্টিবায়োটিক
কান পাকা রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ বা প্রেসক্রিপশন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে প্রাপ্ত করা উচিত। কারণ কান পাকা হওয়ার পিছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে এবং যেকোনো এন্টিবায়োটিক সমস্যার সমাধান হতে পারে না। তাই ভালো কিছুর জন্য একজন ভাল ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
তবে, কিছু সাধারণ অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধের নাম উল্লেখ করা যেতে পারে যেমনঃ Amoxicillin, Ciprofloxacin, Levofloxacin, Azithromycin ইত্যাদি। তবে এই ঔষধ গুলো ব্যবহারের নির্দেশ ও মাত্রা সম্পর্কে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করা উচিত।
লেখকের মন্তব্য
কান পাকা রোগের চিকিৎসা শুরু করার আগে কোন ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত। সাধারণত, এই ধরনের রোগের জন্য ডাক্তারেরা কানের ড্রপ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এবং যেকোন প্রয়োজনের ঔষধ প্রেসক্রাইব করেন। কিছু ঘরোয়া প্রাথমিক চিকিৎসা হতে পারে হাঁটাহাঁটি করা, গরম পানি বা কুলি করার জন্য কমলা পানি ব্যবহার করা, এবং অতিরিক্ত প্রেসারাইজড হতে বিরত থাকা। তবে এ ধরনের রোগের জন্য অবশ্যই নিজের স্বাস্থ্য যাচাই করা জরুরী।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url