মাথাব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
আসসালামু আলাইকুম। এই পোস্টের মাধ্যমে মাথাব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে
জানতে পারবেন। পিপারমেন্ট বা ল্যাভেন্ডার এর মতো কোন সুগন্ধি ফ্লেভারযুক্ত তেল
দিয়ে মেসেজ করলে মাথার যন্ত্রণা অনেকটা কমতে পারে। চা বা কফিতে এক ধরনের ক্যাফেন
উপস্থিত থাকে। এই ক্যাফেন মাথা ব্যথা বা যন্ত্রণা কমাতে অনেক বেশি ভূমিকা পালন
করে থাকে।
আপনি যদি চায়ের সাথে লবঙ্গ-আদা ও মধু মিশিয়ে খান তাহলে আপনি মাথার যন্ত্রণা
থেকে আরাম পাবেন। অস্বস্তিকর যন্ত্রণা বা ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আপনি
গোসল করতে পারেন। তাই আপনি যদি মাথা ব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলেন
তাহলে আপনি খুব দ্রুত মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মাথাব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
ভূমিকাঃ মাথাব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় জেনে নিন
মাথা ব্যাথা সাধারণত বিভিন্ন কারণে হয়ে থাকে। মাথা ব্যাথার সাধারণ কারণগুলো হলো
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, ক্লান্তি, সাইনোসাইটিস, সর্দি, ঔষধের
প্রতিক্রিয়া, দাঁতের রোগ, মাথায় আঘাত খাবার বা ঠান্ডা পানীয় খুব দ্রুত খেয়ে
ফেলা ইত্যাদি কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। মাথাব্যথা কে প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি এই
দুই ক্যাটাগরিতে রোগ নির্ণয়ের সুবিধার্থে ভাগ করা হয়ে থাকে। তবে মাথাব্যথা দূর
করার জন্য আমাদেরকে মাথাব্যাথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে।
চলুন জেনে নেই মাথা ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায়।
মাথা ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হওয়ার সাথে বা কাজের চাপ বেড়ে যাওয়াতে, অল্পতেই
অনেকের মাথা ধরে। কাজের চাপের কারণে ব্যস্ততার মধ্যে বিশ্রাম নেওয়ার খুব একটা
সুযোগ মেলেনা। তাই মাথা ব্যথা উঠলে বেশিরভাগ মানুষের বিশ্রাম বা ঘুমানো মেলে না।
তাই মাথাব্যথা করলে বেদনানাশক ঔষধ খাওয়া মোটেই ঠিক না। এই বেদনাশক ঔষধের
অল্পবিস্তর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে। এবং এই ঔষধ খাওয়ার ফলে শরীরের উপর
দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে।
তাই মাথা ব্যাথার দূর করার ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে খুব দ্রুত ব্যথা থেকে আরাম
পাওয়া সহজ। মাথা ব্যাথার ঘরোয়া উপায় হিসেবে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হবে। সেটা
হল ভালোভাবে মেসেজ করতে হবে। তারপর ঘরের আলো কমিয়ে দিতে হবে। ভালো কোন
এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি চা বা কফির সাথে আদা- লবঙ্গ ও মধু
মিশিয়ে খেতে পারেন। অসহনীয় ব্যাথা হলে গোসল করে নিতে পারেন।
মাথা ব্যাথা হলে কি করা উচিত
অতিরিক্ত কাজের চাপে আপনি যদি বিশ্রাম না নেন সে কারণে আপনার মাথা ব্যাথা হতে
পারে। আর যদি আপনি দেখেন দিন দিন আপনার মাথা ব্যথা বেড়েই চলছে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই
ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। মাথা ব্যথা উঠলে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ
খাওয়া একেবারে ঠিক না। কারণ এসব ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। তবে মাথা
ব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় ব্যবহার করে ব্যাথা দূর করতে পারেন।
আপনার ঘাড়ের কাছে দুটো রোগের পাশে আঙ্গুলের ডগা দিয়ে কিছুক্ষণ মেসেজ করলে তবে
এই ক্লান্তি থেকে অনেকটা আরাম পাবেন। আপনার যদি ক্লান্তি থেকে এই ব্যাথা হয়ে থাকে
এই মেসেজ করলে আপনি অনেকটাই আরাম পেতে পারেন। আপনি যেখানে বসবাস করছেন সেখানে যদি
অতিরিক্ত আলো থেকে থাকে এই আলোর কারণে আপনার মাথা ব্যাথা হতে পারে।
তাই আপনার মাথা ব্যথা কমানোর জন্য ঘরের আলো কমিয়ে দিন। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের
আলো থেকে দূরে থাকুন। ঘর থেকে বাহিরে যদি বের হন ভালো মানের সানগ্লাস ব্যবহার
করুন। আঙ্গুলের ডগা লাগিয়ে ভালোভাবে মেসেজ করতে পারেন। মাথা ব্যাথা থেকে আরাম
পাওয়ার জন্য চা বা কফি এর সাথে লবঙ্গ আদা ও মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।
মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ
মাথার কোন দিকের ব্যাথা বা মাথাব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ? জানালেন চিকিৎসক।
মাথাব্যথা অনেক প্রকারের আছে। কি জন্য ব্যাথা হচ্ছে বুঝবেন কিভাবে? মাথা ব্যাথা
কোন রোগের লক্ষণ বোঝার জন্য নিচে কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো।
- মাইগ্রেন: যে কোন একটা দিক থেকে মাথার ব্যাথা শুরু হতে পারে। অনেক সময় একে আদ- কপালি ব্যাথা বলা হয়। দপদপ করে মাইগ্রেনের ব্যাথা বাড়তে থাকে। কিছুক্ষণ পর দেখবেন এ ব্যাথা সমস্ত মাথা ছড়িয়ে পড়েছে। তারপর চোখের চারপাশ ব্যথা শুরু করবে।
- টেনশন: টেনশনের কারণে মাথাব্যাথা হলে মনে হবে কেউ মাথার চেপে ধরে আছে এবং ভারী ভারী লাগছে।
- ক্লাসটার হেরেক: দিনের যেকোনো একটি সময় বা বছরের নির্দিষ্ট একটা সময়ে এই ব্যাথা হতে পারে। চোখের পিছন দিক থেকে শুরু করে মাথার একটি দিক থেকে যন্ত্রণা হয়।
- মাথার ভিতরে রক্তপাত হলে: ঘার থেকে শুরু করে মাথার পিছন দিক প্রচন্ড ব্যথা অনুভূত হয়।
- ব্রেন ইনফেকশন বা মেনিনজাইটিস: পুরো মাথা জুড়ে ব্যাথা হতে থাকে। তার সাথে ঘাড়ে ব্যাথা হতে পারে।
- চোখের পাওয়ার বাড়লে: চোখের পাওয়ার বাড়লে পুরো চোখ ব্যাথা হবে। সাথে মাথাও ব্যাথা হতে পারে।
- ভেনাস সাইনাস: ভেনাস সাইনাসের ফলে মাথার ভিতর থেকে ব্যাথা হতে পারে।
- ব্রেন টিউমার: ব্রেন টিউমার হওয়ার ফলে মাথা ব্যাথা হতে পারে। যেদিকে টিউমার হয় সেদিক দিকে ব্যাথা হতে পারে।
- বয়স্কদের মাথাব্যাথা: মানুষের কানের পিছনে টেম্পোরাল আর্টারি থাকে। এই টেম্পোরাল আর্টারাইটিস এর কারণে একটা অসুখ হয়। এবং কানের পিছনে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়।
মাথা ব্যথা দূর করার ঔষধ
আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ হচ্ছে মাথা। তাই মাথা যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে
তাহলে পুরো শরীর অকেজ হয়ে যায়। যদিও মাথাব্যাথা সাধারণ একটি ব্যাপার। কিন্তু
বিভিন্ন সময়ে বারবার মাথাব্যাথা দেখা দিতে পারে। কখনো হালকা ব্যাথা হতে পারে আবার
কখনো অনেক তীব্র ব্যাথা ধারণ করে। এই ব্যাথা আমাদের দৈনন্দিন জীবন এবং কর্মক্ষেত্রে
প্রভাব ফেলে। যদি এই ব্যাথা দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে অবশ্যই চিন্তার একটি
বিষয়।
যেহেতু মাথা ব্যাথা ঘনঘন দেখা দেওয়ার একটা প্রবণতা রয়েছে, তার ফলে কাজে মনোযোগ
দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই মাথা ব্যাথা দূর করার ঔষধ সম্পর্কে আমাদের জানা
দরকার ঔষধ গুলোর মধ্যে হলো-Napa Extra, Ace Pus,Reset Plus,
Cafedin,Cadedol, Caffo,Clofamol Extra, Fap Plus, Feverex এইসব ওষুধের পাশাপাশি
সাথে এই ওষুধগুলো খেতে হবে
Busulfan, Phenytoin, Sirolimus, Ramipril, Warfarim, Oxyphenbutazone, Metamizone, Amlodipine.etc.
মাথা ব্যাথার মলমের নাম
মাথা ব্যাথা হলে আমরা সাধারণত বিভিন্ন রকম মলম ব্যবহার করে থাকি। মলম ব্যবহারের
ফলে অনেকটাই মাথা ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ঔষধ খাওয়ার ক্ষেত্রে যেমন
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। মলম ব্যবহারের ক্ষেত্রে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
মাথাব্যথার মলম এর মধ্যে আমরা নাইট্রোগ্লিসারিন, ঝান্ডুবাম, ইত্যাদি এই জাতীয়
মলম ব্যবহার করতে পারি।
লেখকের মন্তব্য
পরিশেষে বলতে পারি মাথাব্যথা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে উপরের আলোচনা থেকে
জানতে পারলাম। বিভিন্ন কারণে মাথাব্যথা হতে পারে। মাথা ব্যথা হলে চটজলদি কোন ওষুধ
না খেয়ে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে মাথা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এই
আর্টিকেল এর ভিতরে মাথা ব্যাথা সম্পর্কে যে তথ্যগুলো জানতে পেরেছেন আপনার ভালো
লেগে থাকে তাহলে আপনার প্রিয়জনদের সাথে শেয়ার করবেন। লেখার মধ্যে কোন ভুল
ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url