এই গরমের ভিতর কী ধরনে পোশাক পড়া উচিত জেনে নিন
আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব এই গরমের ভিতর কি ধরনের
পোশাক পরা উচিত সে বিষয় নিয়ে। ফ্যাশন ডিজাইনারদের মতে, প্রচন্ড গরমে হালকা
এবং আরামদায়ক পোশাক পড়তে হবে। গরমের ভিতরে এমন পোশাক বেছে নিতে হবে যা তাপ
শোষণ করবে কম। গরমকালে ব্যবহারের জন্য সুতি কাপর সবচেয়ে বেশি আরামদায়ক এবং এর
রং হতে হবে সাদা।
তাই এই গরমের ভিতর কি ধরনের পোশাক পরা উচিত তা আমাদেরই নির্বাচন করে নেওয়া
উচিত। প্রকৃতিতে এখন গরমের দাপট। তাপমাত্রা প্রতিদিন বাড়ছে। তাই এ সময়ে
আমাদের পোশাকের ব্যাপারে বাড়তি সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে। অতিরিক্ত গরমের
ভিতরে তাই ভালোভাবে ভেবেচিন্তে পোশাক নির্বাচন করতে হবে।
পোস্ট সচিপত্রঃ এই গরমের ভিতর কী ধরনে পোশাক পড়া উচিত জেনে নিন
ভূমিকাঃ এই গরমের ভিতর কী ধরনে পোশাক পড়া উচিত জেনে নিন
এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনারা অত্যন্ত খুশি হবেন। কারণ এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা
করেছি। এই গরমের ভিতর কি ধরনের পোশাক পড়া উচিত বা কি ধরনের পোশাক পড়া উচিত নয়
এসব বিষয়গুলো নিয়ে আমরা এই আর্টিকেলের ভিতরে বিশদ ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা
করেছি। ঘরের বাহিরে বের হতে গেলে মনে হয়, পরে বের হচ্ছি, আবার তা ঠিক আছে
কিনা। কারণ দিন দিন গরমের তীব্রতা বেড়েই চলছে।
গরমের সময় মেকাপের দিকে একটু বেশি নজরদারি দিতে হয়। ভ্যাপসা গরম, প্রচন্ড
তাপ, অথবা কটকটে রোধ। যেভাবে যেটাকে বোঝানো হোক না কেন অনুভূতিটা কিন্তু একই
তাহলো গরম। প্রকৃতির মাঝে বৃষ্টির ছোঁয়া দিচ্ছে কিন্তু তারপরেও কাটেনি গরম।
ঠিক এই সময় এই গরমের ভিতর কি ধরনের পোশাক পরা উচিত তা আমাদেরকে নির্ধারণ করে
নিতে হবে।
গরমে আরামদায়ক পোশাক
তীব্র গরমে আমাদের জীবনের নাজেহাল অবস্থা। দিনের পর দিন সূর্যের তাপ বেড়েই
চলছে। এদিকে অসহনীয় গরমের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা হয়ে পড়েছে কষ্টসাধ্য।
প্রচন্ড গরমের কারণে হিটস্ট্রোকের মতো বিষয়গুলো প্রতিনিয়ত চোখে পড়ছে।তাই গরম
থেকে যেকোনো উপায়ে মুক্তি চায় আমাদের। গরমের সময় বিভিন্ন জায়গায় কোমল
পানিও নানা ধরনের মুখোরুচক শরবতের সমারোহ চোখে পড়ার মতো, তারপরেও যেন গরম থেকে
মুক্তি পাওয়া যায় না।
তারপরেও এর বাহিরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রার কাজগুলো করতে হচ্ছে সব সময়ের মতোই।
অন্যদিকে অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচার জন্য সঠিক পোশাক নির্বাচন এবং গরমে
আরামদায়ক পোশাক নির্বাচন করা অতি জরুরি। গ্রীষ্মে বেছে নিতে পারেন পাতলা সুতি
কাপড়ের পোশাক যা পড়লে একদিকে যেমন গরম লাগবে, অন্যদিকে আরাম লাগবে।
এছাড়া ব্যবহার করতে পারেন, সুতি পাতলা ফিনফিনে কাজ করা কামিজ, অরবিন্দ সহ
পাহাড়ি পাতলা তাঁতের খাদি কাপড়ের পোশাক। এই গরমের ভিতরে নিজের শরীরকে ভালো
রাখার জন্য এই গরমের ভিতর কি ধরনের পোশাক পরা উচিত তা আমাদের নিজেকে নির্বাচিত
করে নেওয়া উচিত।
গরমে ঢিলেঢালা পোশাক
বাহিরে প্রচন্ড তাপ বা প্রখর রোদ। আপনি যদি সূর্যের তাপ আর গরমকে ফাঁকি দিতে
চান তাহলে এখনই আপনাকে বেছে নিতে হবে স্বস্তির পোশাক সঙ্গে আপনার সাজেরও যোগ
করতে হবে তীব্রতার ছোঁয়া। আপনি যতই নিজেকে সাজান এবং সাজতে ভালবাসেন না কেন
গরমের কথাটা আপনাকে মাথায় রাখতেই হবে। গরম থেকে বাঁচার জন্য গরমের ঢিলেঢালা
পোশাক পরা জরুরী। প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচতে হলে চাই সঠিক পোশাক যা হবে ফ্যাশনেবল
এবং আরামদায়ক।
এ সময় শরীরকে আরাম দেয় ঢিলেঢালা পোশাক। এক সময় তরুণদের কাছে ফিট পোশাক
জনপ্রিয় থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে ঢিলেঢালা পোশাক তরুণদের কাছে সবচেয়ে বেশি
জনপ্রিয়। কুর্তা, কামিজ বা ওয়েস্টার্ন পোশাকের ক্ষেত্রে নারীরা পছন্দ করছেন
লুজ ফিটিংয়ের জামাকাপড়। আবার পুরুষেরাও পছন্দ করছেন ঢিলাঢালা ফতুয়া পাঞ্জাবি
টি শার্ট।
কোন রঙের কাপড় গরম কম লাগে
সবাই বলে থাকে হালকা রঙের পোশাকে গরম কম লাগে কথা কিন্তু সত্য। সাদা রঙ্গের
পোশাক পরলে গরম কম লাগতে পারে কারণ বিজ্ঞানীদের ভাষায় সূর্য থেকে বিকোরণ
পদ্ধতিতে তাপ পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। কিন্তু এইটা সব বস্তুর ওই শোষণ করার ক্ষমতা
এক নয়। অন্যান্য রঙ্গের চেয়ে সাদা রঙ্গের তাপীয় বিকরন শোষণ ক্ষমতা অনেক
কম।
সাধা রংএর পোশাক গরমে সবচেয়ে আনন্দের। কিন্তু গরমের সময় যতটা সম্ভব কালো রং
এড়িয়ে চলুন তাছাড়া সাদা কিংবা যেকোনো ধরনের হালকা রঙের পোশাক পড়লে গরম থেকে
কিছুটা হলে রক্ষা পাবেন।
লিলেন কাপড়
নির্দিষ্ট যেকোনো একটি রং থেকে শুরু করে বাহারে প্রিন্টের লিলেনের পোশাক এখন
ফ্যাশনের জন্য বেশি জনপ্রিয়। ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ার লিলেন কাপড় চেনার
উপায় জানা এখন অনিবার্য হয়ে পড়েছে। এক রঙ্গানা থেকে শুরু করে বাহারি
প্রিন্টের নিলেন পোশাক এখন ফ্যাশনের তুঙ্গে। বিশেষ করে গরমে লিলেনের কাপড়ের
ব্যবহার বেড়ে যায়।
কাঠামো, মনোরম টেক্সচার দ্বারা আলাদা করা হয়। লিলেন কাপড়ের উচ্চ পানি ও ঘাম
শোষণ ক্ষমতার জন্য এটি তীব্র তাপদাহে শরীরের ঘাম শুষে নেয়। এবং শোষিত ঘামকে
বাষ্পীভবন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আঁশের মধ্য দিয়ে বের করে দিয়ে স্বস্তি প্রদান
করে।
কটন কাপড় চেনার উপায়
সহজ একটি পদ্ধতি রয়েছে কটন কাপড় বা সুতি কাপড় চেনার। সুতি কাপড় মোচরানো হলে
সহজে সুতি কাপড় কুঁচকে যায়। সুতি কাপুর ধোয়ার পর টানটান করে মেলে দিলে সোজা
হয়ে যায়। সুতি বা কটন কাপড় চেনার উপায়। আসল সুতি কাপড়ের গুণন হবে পাতলা,
এমনটাই বলেছিলেন টাঙ্গাইলে শাড়ি কুটির স্বত্বাধিকারী মনিরা এমদাদ। যে সুতি
কাপড় খাঁটি হবে তার উজ্জ্বলতা কম দেখাবে। আমরা শপিং করতে গিয়ে সবাই ১০০% কটন
কাপড় খুঁজে থাকি।
তাই দোকানদারকে আমরা জিজ্ঞেস করে থাকি ভাই কাপড়টা কি পিওর কটন। আমাদের দেশের
অধিকাংশ বিক্রেতাগণ বলে থাকেন হ্যাঁ ভাই এই কাপুর ১০০% কটন। কিন্তু দোকানদারেরা
এখানে বেশিরভাগ মিথ্যা কথা বলে থাকেন। তাই কাপড় কিনতে গিয়ে ঠকবার ঝুঁকিটাই
সবচেয়ে বেশি। দোকানদারের উপর ভরসা না করে ।
আপনি নিজেই পিওর কটন কাপড় যাচাই করে কিনতে পারেন। পিওর কটন কাপড় চিনার উপায়।
মনে রাখতে হবে ১০০% কটন কাপড়ে যদি ভাঁজ পড়ে তাহলে খুব সহজেই ভাঁজ এবং সোজা হয়ে
যায়। ১০০% কটন কাপড় একটি অংশ ধরে মুছরে দিলে কাপড় টিতে ভাঁজ পড়ে যাবে। আর
কাপড়টি যদি ১০০% কটন না হয় তাহলে ভাঁজ পড়বে না।
শেষ কথা
পরিশেষে বলা যায় এই গরমের ভিতর কি ধরনের পোশাক পরা উচিত বা কি ধরনের পোশাক পরা
উচিত নয় এই বিষয়ের আলোকে উপরে এই আর্টিকেল এর ভেতরে আমরা আলোচনা করেছি।
প্রচন্ড গরমের সময় সাদা পোশাক পরাই সবচেয়ে ভালো। সাদা রং তাপ শোষণ ক্ষমতা
রাখে। প্রচন্ড গরমে কালো রং না পড়াটাই ভালো।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url